শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ নাবিল গ্রুপের এমডি ও পরিবারের

bornomalanews
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১১ Time View

নাবিল গ্রুপ নিয়ম ভেঙে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

ঋণ কেলেঙ্কারিতে আলোচিত রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, তার বাবা-মা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।

সোমবার বিএফআইইউর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক ব্যাংকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ -এর ২৩ (১) (গ) ধারা অনুযায়ী আমিনুল ইসলাম, তার বাবা জাহান বকস মণ্ডল, মা আনুয়ারা বেগম, স্ত্রী ইসরাত জাহান, ছেলে এজাজ আবরার এবং মেয়ে আফরাত ইবনাথের ব্যক্তিগত হিসাব এবং তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির নামে পরিচালিত হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার পাশাপাশি তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তা জব্দ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তার তথ্য (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) পাঠানোর অনুরোধ করেছে বিএফআইইউ।

ইসলামী ব্যাংক আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর ঋণ কেলেঙ্কারিতে রাজশাহীভিত্তিক নাবিল গ্রুপের নাম আসে। এই গ্রুপ নিয়ম ভেঙে নামে-বেনামে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন ও ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গত কয়েকবছরে ঋণ ‘অনিয়মে’ নাম আসা আলোচিত নাবিল গ্রুপকে নামে ও ভিন্ন নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের রাজধানীর গুলশান এবং রাজশাহী অঞ্চলের কয়েকটি শাখা থেকে। নিয়ম ভেঙে গ্রুপটিকে বিশেষ সুবিধায় সীমার অতিরিক্ত ঋণ প্রদান করেছে ব্যাংকটি।

ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র পর্যালোচনা করে ও সংশ্লিষ্ট একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাবিল গ্রুপ দুইভাবে ঋণ নিয়েছে। প্রত্যক্ষ বা সরাসরি ঋণ, আরেকটি হল পরোক্ষ ঋণ।

প্রত্যক্ষ ঋণগুলো নাবিলের গ্রুপভুক্ত কোম্পানির নামে হলেও পরোক্ষ ঋণগুলো কাগজে কলমে অন্য কোম্পানির নামে নেওয়া হয়েছে। তবে পরোক্ষভাবে ঋণগুলো ওই সময় নাবিল গ্রুপকেই দেওয়া হয়। এসব কোম্পানি ভিন্ন কয়েকটি শাখা থেকে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এক্ষেত্রেও ব্যাংকের একক ঋণ সীমার নিয়ম নীতি মানা হয়নি।

আর নাবিল গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে মোট প্রায় তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। একক ঋণ সীমার নিয়ম এক্ষেত্রেও মানা হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 bornomalanews24.com
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102