তথ্য-প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে নতুন বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা।
বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুছি তোমোহিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রোববার সচিবালয়ে তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
জাইকা প্রতিনিধি ইচিগুছি তোমোহিদে এ সময় বলেন, “বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় সম্ভাবনাময় দেশ। কিন্তু বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভালো চাকরির সুযোগ কম। তাই আমরা বাংলাদেশে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে চাই, পাশাপাশি বাংলাদেশের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ১০০০ তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ দিতে চাই।”
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “কর্মসংস্থান সৃষ্টি বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য। কারণ এ কর্মসংস্থানের জন্যই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। কর্মসংস্থান তৈরিতে জাইকার যে কোনো বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই।
“এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে তা বিবেচনা করা হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাপান এবং জাইকার কাছে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।”
ইচিগুছি তোমোহিদে বলেন, “বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জনপ্রশাসন সংস্কার এ দুটি এজেন্ডা নিয়ে আমরা কাজ করতে আগ্রহী।”
বৈঠকে অবকাঠামো উন্নয়নেও আগ্রহ প্রকাশ করেন জাইকা প্রতিনিধি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চান।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।
“এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশের তরুণরা মেধাবী, জাইকার সাথে কাজ তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। তাই বাংলাদেশ জাইকার সাথে কাজ করতে আগ্রহী। তাছাড়া প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারেও সরকার কাজ করছে।”
সাক্ষাৎকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, জাইকা বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি কমোরি তাকাশি, প্রতিনিধি কুককামি মিনামি এবং জাইকা বিশেষজ্ঞ সোজি আকিহিরো উপস্থিত ছিলেন।