বাংলাদেশের ‘এক চীন নীতি’: তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান বাংলাদেশ আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে ‘এক চীন নীতি’র প্রতি তার অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যা তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট এবং অটল অবস্থান। শুক্রবার, ২৮ মার্চ, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব ২৭৫৮-এর কর্তৃত্ব কোনো প্রশ্ন বা চ্যালেঞ্জের ঊর্ধ্বে। বাংলাদেশের অবস্থান হলো, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারই পুরো চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বৈধ সরকার, এবং তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। চীনের মূল স্বার্থ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দেশটির প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশ সমর্থন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৬ মার্চ চীন সফরে যান, যেখানে তিনি চীনের হাইনানে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান করেন। এই সম্মেলনটি এশিয়ার অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।