বাংলাদেশের আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ রোববার (০১ জুন) সকালে এই রায় ঘোষণা করেন, যা হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায়কে বাতিল করে। তবে, জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত, যা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এই রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনসংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া ন্যায়ভ্রষ্ট রায় আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ বাতিল ঘোষণা করেছে।” তিনি মহান রবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা যেন দ্রুতই আমাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাই।” ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দেয়। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। জামায়াতে ইসলামী হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও, গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজ করে দেয়। ফলে, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। গত ১৪ মে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার জন্য আপিলের শুনানি শেষ হয় এবং ১ জুন রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল। আপিল বিভাগের এই রায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং জামায়াতে ইসলামীর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।