২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ শুরুতে এক উইকেট হারিয়ে দলীয় শতক স্পর্শ করেছিল। তবে এরপর হঠাৎ করেই ছন্দ পতন ঘটে। এক উইকেটে ১০০ রান থেকে ১০৫ রানে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই সাজঘরে ফেরেন আরো ছয় ব্যাটার। অর্থাৎ, ৫ রান যোগ করতে গিয়ে বাংলাদেশ হারায় ৭ উইকেট। এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি টাইগারদের। ৭৭ রানের জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪৯ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৬ রান করেন চারিথ আসালঙ্কা। জবাবে বাংলাদেশ ৩৫ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানের বেশি করতে পারেনি।
বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন। ইমন উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩ রান করে তিনি ফিরলে ভাঙে ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে তামিমকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুজনের জুটিতে বাংলাদেশ জয়ের পথে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই দলীয় শত রান স্পর্শ করেছিল বাংলাদেশ। তবে হঠাৎ রান আউটে কাটা পড়েন শান্ত, যিনি ২৬ বলে ২৩ রান করেন।
শান্ত ফেরার পরই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ৫ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের আরো ৬ ব্যাটার। লিটন দাস, তানজিদ তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদরা সবাই ব্যর্থ হন। তাদের মধ্যে লিটন, মিরাজ ও তাসকিন ডাক খেয়েছেন।
এরপর জাকের আলি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন এবং ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেন। তবে তা কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখেন তাসকিন আহমেদ, যিনি সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন। তানজিম সাকিব ৪৬ রানে ৩ উইকেট নেন। শান্ত ও তানভীর ইসলাম একটি করে উইকেট পান।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে, নিশাঙ্কা ও মাদুশকা দ্রুত ফিরে গেলেও কুশল মেন্ডিস ও আসালঙ্কার মধ্যে একটি বড় জুটি গড়ে ওঠে। তবে কুশল ৪৫ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভেঙে যায়। আসালঙ্কা ১১৭ বলে তার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, কিন্তু তার বিদায়ের পর আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে শুরুতে ভালো পারফরম্যান্স হলেও শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ২৪৪ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বিপর্যয় এবং শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ের সাফল্য ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে।