বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনার মূল বিষয় ছিল সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির মধ্যে সম্ভাব্য সংশোধন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, যা সকলের মধ্যে একমত হয়েছে। তবে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণে একটি বিশেষায়িত কমিশন গঠনের প্রস্তাবে কিছু দ্বিমত রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে বিশেষায়িত কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং বলেন, এটি বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, রায় জনগণের পক্ষে আসবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বিচার বিভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, তিনি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও কিছু বিকল্প পথ খোলার প্রস্তাব দেন, যাতে প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সকলের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে এবং অর্থবিল ও আস্থাভোট ছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলোতে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা থাকবে। জাতির সঙ্গে ঐকমত্যে আসার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছরের বেশি না করার বিষয়ে একমত হওয়ার কথা উল্লেখ করেন, যাতে ভবিষ্যতে স্বৈরাচারী শাসনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
সালাহউদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাস বা ৯০ দিন রাখার প্রস্তাব দেন এবং যদি বিলম্ব হয়, তবে আরও এক মাসের বিধান রাখার কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত নেই এবং নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বহাল রয়েছে।
সার্বিকভাবে, সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তাবের কথা উঠে এসেছে।