রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সোমবার দুপুরে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুল ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্তের সময় স্কুলে ক্লাস চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো ভবন, মুহূর্তেই ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় চারপাশ। আতঙ্কিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে, যাদের মধ্যে ১৭ জনই শিশু। নিহতদের মধ্যে ৭ জনের মরদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে, তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। আহতদের মধ্যে বর্তমানে ৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিমান বিধ্বস্তের পরপরই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো উত্তরায়। নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতাল ও আশপাশের পরিবেশ। আহতদের চিকিৎসা ও উদ্ধারকাজে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। দেশের সাম্প্রতিককালের অন্যতম বড় বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে এই ঘটনা চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা .