মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ক্ষমতার অবস্থান যাই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় : ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হলো রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনকে ভোটের পথে বাধা দিতে পারবে না কোনো অপশক্তি : আইজিপি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট : জাতির উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা রবিবার আরও ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন ইসির ১২ কর্মকর্তাকে বদলি রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুরে রাতের আঁধারে দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ, আতঙ্কে স্থানীয়রা জাতীয় নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল: ১৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ নিবন্ধনের দাবিতে আমরণ অনশনে তারেক রহমান, ‘নিয়মের বাইরে কিছুই সম্ভব নয়’— ইসি

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ

bornomalanews
  • Update Time : সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২ Time View

জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে, দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণা করেন। প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, অন্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায় ঘোষণার সময় জনাকীর্ণ আদালতে নিহতদের পরিবারের সদস্যসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইব্যুনাল রায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে; একটিতে আজীবন কারাদণ্ড এবং দুইটিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দাবি ছিল, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মাস্টারমাইন্ড ও সর্বোচ্চ নির্দেশদাতা ছিলেন। এই মামলায় আসামি ছিলেন শেখ হাসিনা ছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন একমাত্র গ্রেপ্তারকৃত আসামি এবং তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণকালে ৫৪ জন সাক্ষীর মধ্যে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, আহত ব্যক্তি, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়াও শেখ হাসিনার টেলিফোন কথোপকথনের অডিও-ভিডিও, গণমাধ্যম প্রতিবেদন ও জব্দকৃত গুলির প্রমাণাদি বিচারিক কার্যক্রমে উপস্থাপিত হয়। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয় ২০২৪ সালের আগস্টে এবং এর পরই এই মামলার বিচার শুরু হয়। ১০ জুলাই ২০২৪ তারিখে তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। মামলায় আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দেয়া, নির্দিষ্ট হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্র, এবং আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ। রায়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উল্লাস প্রকাশ করে মিষ্টি বিতরণ করেন, যা এই রায়ের জনসাধারণের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন। এই রায় দেশের ইতিহাসে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও আইনের শাসনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102