তার দেশের প্রতি আপসহীন ভালোবাসা এবং নেতৃত্বের পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল বিশেষভাবে পরিচিত। খালেদা জিয়ার পরিবারের সবাই খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিতেন; তার ছোট ছেলে তারেক জিয়া ক্রিকেট ও ফুটবল খেলতেন, আর আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। খালেদা জিয়ার আপন খালাতো বোন ও সাবেক তারকা অ্যাথলেট শামীমা সাত্তার মিমু স্মৃতিচারণে উল্লেখ করেন, নেত্রী সব সময় উৎসাহিত করতেন খেলাধুলায় অংশ নিতে এবং অন্যদেরও এগিয়ে আসতে। তিনি মনে করতেন, খেলাধুলাই তরুণদের জীবনের মূলমন্ত্র এবং খেলাধুলার মাধ্যমে দেশ বিদেশে পরিচিতি পাওয়া সম্ভব। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আলফাজ আহমেদ জানান, ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি দেশে আসার সময় তিনি সেটি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিয়েছিলেন, যার স্মৃতিচারণ আজও ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে জীবন্ত। আলফাজ আরও বলেন, খালেদা জিয়া দেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে সব সময় উৎসাহ দিতেন। ২০০৩ সালে যখন বাংলাদেশ প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল, তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দলের সদস্যদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রত্যেককে পাঁচ কাঠার একটি করে প্লট প্রদান করেছিলেন, যা দলের অধিনায়ক হাসান আল মামুন আজও বিশেষ স্মরণ করেন। খালেদা জিয়ার খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে গড়ে তুলতে তার অবদান আজও স্মরণীয় ও সম্মানিত হয়ে থাকবে।