দেশের বিদ্যুৎ খাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশে (বিশেষ ক্ষমতা আইন) সম্পাদিত চুক্তিগুলোর বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১) এর অধীনে সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটি।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) বোর্ড রুমে কমিটির আহ্বায়ক সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান। এর আগে এই কমিটির সদস্যরা প্রথম বৈঠক করেন।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে এসব তথ্য জমা দিতে হবে। কমিটির পরবর্তী বৈঠক আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের বৈঠকে জ্বালানি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে (কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে) জ্বালানিবিষয়ক আলোচনা করা হবে। বিদ্যুৎ খাত সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়েই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সেগুলো যাচাই-বাছাই ও বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে। পরে এই কমিটি সরকারের কাছে করণীয় বা সুপারিশ জমা দেবে। তবে এখন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের বিষয়টিই প্রথম কাজ হিসেবে হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিধানের আওতায় চুক্তিবদ্ধ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তথ্য দিতে হবে।এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও পিডিবির কাছে থাকা তথ্য সাতদিনের মধ্যে জাতীয় কমিটির কাছে জমা দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এসময় কমিটির সদস্য বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী, কেপিএমজি বাংলাদেশের সাবেক সিওও আলী আশফাক, ফেলো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (এফসিএ), বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ফ্যাকাল্টি অব ল’ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অর্থনীতির অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীন সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনার লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, কমিটি যেকোনো সূত্র থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় যেকোনো নথি নিরীক্ষা করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শুনানিতে আহ্বান করতে পারবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর আওতায় ইতোমধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলোতে সরকারের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়েছে কি না, তা নিরীক্ষা করবে। নিরীক্ষার ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দেবে।
এনএস/বিএ/এএসএম