ওরিয়ন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক খাতের গোয়েন্দা হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে তাদের পরিচালিত সব হিসাবে ৩০ দিন লেনদেন বন্ধ রাখতে বলেছে।
বেসরকারি একটি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি পাঠানো এ নির্দেশনা মেনে ব্যাংকগুলো ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।
বিএফআইইউরে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকের এ নির্দেশনার বিষয়টি বুধবার সামনে এসেছে।
চিঠিতে ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রী আরজুদা করিম, ছেলে ওরিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান ওবায়দুল করিম, মেয়ে জারিন করিমের নামসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চিঠিতে মেহেদি হাসান ও রেজাউল করিমের নামসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যও দেওয়া আছে। তারা ওবায়দুল করিমের আত্মীয় বলে সংবাদমাধ্যমের খবর।
ব্যাংক হিসাব স্থগিত সংক্রান্ত বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, “উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাঁদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে।
“এছাড়া তাদের নামে কোনো লকার সুবিধা থাকলে তার ব্যবহারও ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।”
এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ওরিয়নের মালিকদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দিয়েছিল।
সিআইসি গত ২২ অগাস্ট ওরিয়নসহ দেশের বড় পাঁচটি শিল্প গ্রুপের মালিকদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে। অন্য গ্রুপ হচ্ছে-সামিট, নাসা, বেক্সিমকো ও বসুন্ধরা।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠিও পাঠায় সিআইসি।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন এ বিষয়ে বলেছিলেন, “এই ব্যক্তিদের ও তাদের পরিবারের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন, সঞ্চয় অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সিআইসি। বর্তমান সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনা এবং সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিআইসি সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা সম্পন্ন করেছে।
“পর্যায়ক্রমে এসকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন, ২০২৩ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”
এরই ধারাবাহিকতায় বেক্সিমকো, নাসা, সামিট, বসুন্ধরা, ওরিয়ন গ্রুপের কর্ণধার এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়কর ফাঁকির তথ্য অনুসন্ধানে ও উদঘাটনে সিআইসি কাজ শুরু করেছে বলে জানান সৈয়দ এ মু’মেন।
বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন ও নাসা গ্রুপের মালিকদের বিষয়ে অ