মুনিয়া ইস্যুতে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে ঘিরে উঠে এসেছে নতুন বিস্ফোরক তথ্য। আর সেই তথ্য জানিয়েছেন আরেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাহমিদ সামিন। তার ভাষ্য মতে, তৌহিদ আফ্রিদি নিজেই তাকে জানিয়েছিলেন—মুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও, প্রাইম মিনিস্টার অফিস (পিএমও) তাকে ‘সবদিক দিয়ে শেল্টার’ দিয়েছে। এমনকি, তার দাবি, কল রেকর্ড ফাঁস হলেও ‘পিএম অফিসের কারণে’ সে রেহাই পেয়েছে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব দাবি করেন তাহমিদ সামিন। তিনি বলেন, “তৌহিদ আফ্রিদি আমাদের সঙ্গে গাড়িতে যাওয়ার পথে বলেছিল, ‘মুনিয়া আমার ভাত খেয়ে গেছে কি খেয়ে গেছে’—এরকম কিছু একটা। তখনই সে মুনিয়ার প্রসঙ্গ তোলে এবং নিজেই বলে যে কল রেকর্ডিং দিয়েও কেউ তাকে ফাঁসাতে পারেনি। কারণ পিএম অফিস তাকে সাপোর্ট দিয়েছে।”
তাহমিদ আরও বলেন, “আজকের তৌহিদ আফ্রিদি হতে পারত না যদি না ডিবি প্রধান, তার বাবা কিংবা ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা তাকে আশকারা দিতেন। এটা সত্যি যে তার মুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, এবং কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পরও সে যেভাবে রেহাই পেয়েছে, তাতে বোঝা যায় পেছনে কত বড় হাত ছিল।”
সাক্ষাৎকারে তাহমিদ স্পষ্ট করেন, তারা কখনো ইচ্ছা করে তৌহিদ আফ্রিদির ব্যক্তিগত বিষয় সামনে আনেননি। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ এমনভাবে এগিয়েছে যে মুনিয়া ইস্যু এবং কল রেকর্ড নিয়ে সত্য প্রকাশ হয়ে গেছে।
এই নতুন মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। অনেকে বলছেন, যদি সত্যিই পিএম অফিসের আশ্রয়ে কেউ অপরাধ থেকে রেহাই পায়, তাহলে সেটি দেশের আইনি কাঠামোর জন্য ভয়াবহ বার্তা বহন করে। যদিও এ বিষয়ে সরকার বা সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তৌহিদ আফ্রিদির তরফ থেকেও এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নিঃসন্দেহে আলোচনা এবং তদন্তের দাবি রাখে বলে মত বিশ্লেষকদের।