২০০৭ সালে বলিউডের দুই জনপ্রিয় তারকা সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং অভিনেতা অভিষেক বচ্চন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে বরাবরই ভক্তদের কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। যদিও তারা নিজেদের সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন, তবুও তাদের জীবনে ঝগড়া বা মতবিরোধের অভাব নেই। বরং তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে, এমন একটি দিনও নেই যেদিন তারা ঝগড়া করেন না। এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেছিলেন, “আমাদের মধ্যে ঝগড়া হলেও তা কখনো গুরুতর জায়গায় পৌঁছায় না। আসলে এটি ঠিক ঝগড়া নয়, বরং মতের অমিল। আমরা স্বাস্থ্যকর তর্কাতর্কি করি। না হলে তো সম্পর্ক একঘেয়েমি হয়ে যেত।” ঐশ্বরিয়াও একমত হয়ে বলেছিলেন, “আমরা রোজ ঝগড়া করি। তবে তা কখনোই আমাদের সম্পর্কের গভীরতাকে প্রভাবিত করে না।” তাদের দাম্পত্য জীবনের একটি বিশেষ নিয়ম রয়েছে, যা তারা বরাবরই মেনে চলেন। অভিষেক জানিয়েছেন, “আমরা কখনো রাগ নিয়ে বা ঝগড়া মিটমাট না করে ঘুমাতে যাই না। বিছানায় যাওয়ার আগেই সব সমস্যার সমাধান করে নিই।” তিনি আরও মজা করে বলেন, “আমিই সাধারণত আগে ক্ষমা চাই। কারণ নারীরা কখনো আগে ক্ষমা চান না। তবে আমাদের ঘুম পেয়ে যায়, তাই দ্রুত মিটিয়ে নিই।” ২০২৪ সালে তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। বলিপাড়া এবং সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। কখনো তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ, আবার কখনো বনিবনার অভাব— এমন নানা কারণ উঠে এসেছিল। তবে ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক নিজেরাই সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলে দেন। তারা জানান, তাদের ঘরে নিত্যদিনের মতবিরোধ থাকলেও তা কখনোই সম্পর্কের স্থায়িত্বকে প্রভাবিত করেনি। অভিষেক মনে করেন, দাম্পত্য জীবনে স্বচ্ছতা থাকা অত্যন্ত জরুরি। সৎভাবে খোলামেলা আলোচনা এবং মতবিরোধ মিটিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়েই সম্পর্ককে সুখী রাখা সম্ভব। তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি এবং সম্পর্কের প্রতি দায়বদ্ধতা তাদের দাম্পত্য জীবনকে বলিউডের অন্যতম সফল সম্পর্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।