৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২ জন জাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে পালিয়ে ছিলেন। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি চলাকালে পলক এই তথ্য প্রকাশ করেন। শুনানি চলাকালে পলক বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাকে জেলগেটেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।” তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেন যে, তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। শুনানি শেষে আদালত ভাটারা থানার হত্যা মামলায় তার দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বছরের ১৫ আগস্ট পলককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এরপর তাকে বিভিন্ন সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পলকের এই বক্তব্য এবং তার বিরুদ্ধে চলমান মামলার প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন সংসদ ভবনে পালিয়ে থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে, পলকের বক্তব্যের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সরকারের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পলকের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তাদের পালিয়ে থাকার ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এখন দেখার বিষয় হলো, এই মামলার পরবর্তী শুনানি এবং পলকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা কীভাবে প্রমাণিত হয় এবং এর প্রভাব দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে কেমন হয়।