ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনার প্রভাব এবার ক্রিকেট বিশ্বেও পড়েছে। আইপিএল-এর ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পর টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। এদিকে, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) ধারামশালায় দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচ চলাকালীন ফ্লাডলাইট নিভে যাওয়ায় ম্যাচটি স্থগিত করা হয়। পরদিন আইপিএল কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করে। বিসিসিআই ধারামশালা থেকে খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করলেও বিদেশি ক্রিকেটাররা এখনও শঙ্কিত। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসএসিএ) তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আইপিএলে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পরামর্শ দিচ্ছে। এসএসিএ’র প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু ব্রিটজ বলেন, “খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা তাদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছি।” অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড (সিএ) একই ধরনের বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি কড়া নজরে পর্যবেক্ষণ করছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকার, বিসিসিআই ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু বিদেশি ক্রিকেটার দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইছেন। উত্তেজনার জেরে ভারতের কিছু বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় তাদের ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে সমস্যা হচ্ছে। এদিকে, পাকিস্তানেও ক্রিকেট অস্থিরতায় পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলার পর পেশাওয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচ বাতিল করা হয়। পিসিবি পরে পিএসএল-এর বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তানে থাকা বাংলাদেশি ক্রিকেটার নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেনসহ প্রায় ৪০ বিদেশি খেলোয়াড়কে শুক্রবার রাতের মধ্যে আরব আমিরাতে পাঠানো হয়েছে। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজও (সিডব্লিউআই) পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়লে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর প্রভাব কতটা পড়বে, তা নিয়ে এখন চিন্তিত ক্রিকেট বিশ্ব।