নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এনবিআর এখন থেকে রাজস্ব নীতি এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সোমবার রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়, যা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জারি করা অধ্যাদেশে রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। কর আইন প্রয়োগ এবং কর আহরণ পরিস্থিতি ‘পরিবীক্ষণ’ করার পরিবর্তে এখন থেকে ‘মূল্যায়ন’ করা হবে। অন্যদিকে, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রশাসনিক পদগুলোতে অ্যাডমিন ক্যাডারের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মচারীদের মাধ্যমেও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত থাকবে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী এই জনবল থেকে কিছু অংশ রাজস্ব নীতি বিভাগে পদায়ন করা যাবে। এই পরিবর্তন রাজস্ব ব্যবস্থাপনার কাঠামোতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এদিকে, এনবিআর ভেঙে দুটি বিভাগে রূপান্তরের প্রতিবাদে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা গতকাল সোমবার দিনভর আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে বিক্ষোভ করেছেন। ঢাকার বিভিন্ন কর অঞ্চল, কাস্টমস হাউস এবং ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে কার্যত অচল হয়ে পড়ে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে রাজস্ব ভবনের সামনে বিসিএস আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা, নন-ক্যাডার কর্মকর্তা এবং তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় নতুন অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে তাদের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পরিবর্তন এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যা ভবিষ্যতে রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে।