বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি শুভ সংকেত হিসেবে গণ্য হচ্ছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ যোগ হওয়ার ফলে রিজার্ভ ২২.২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় রিজার্ভ ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। এরপর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে রিজার্ভ ৩০ এপ্রিল ২২.০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। তবে, ৬ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১৮৮ কোটি ডলার পরিশোধ করার পর রিজার্ভ কমে ২০.১৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
২০২২ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। কিন্তু অর্থপাচার বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ কমতে-কমতে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছে যায়।
বর্তমান রিজার্ভের এই বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য একটি আশাপ্রদ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিট্যান্সের প্রবাহ এবং আন্তর্জাতিক ঋণের সঠিক ব্যবস্থাপনা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।