জাতিসংঘকে আখ্যা দিয়েছেন “অকার্যকর” সংগঠন হিসেবে। বিশ্বজুড়ে সংঘাত থামাতে তার ভূমিকা তুলে ধরে তিনি দাবি করেছেন, জাতিসংঘ যেখানে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সফল হয়েছেন। বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প জানান, অন্তত সাতটি ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। যদিও এসব ক্ষেত্রের কয়েকটিতে ওয়াশিংটনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তবুও ট্রাম্পের দাবি, এই সাফল্যই প্রমাণ করে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য। একই সঙ্গে এটি জাতিসংঘের অকার্যকারিতাও সামনে এনেছে। তার ভাষায়, “দুঃখের বিষয়, এসব কাজ আমাকে করতে হলো, অথচ জাতিসংঘ কিছুই করলো না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কোনও ক্ষেত্রেই সংস্থাটি সহায়তা করার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি।” জাতিসংঘ সদর দফতরে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও টেনে আনেন তিনি। ভাঙা এসকেলেটর আর নষ্ট টেলিপ্রম্পটারের প্রসঙ্গ টেনে কটাক্ষ করে বলেন, “জাতিসংঘ থেকে আমি শুধু দুটি জিনিসই পেয়েছি—একটি খারাপ এসকেলেটর আর আরেকটি টেলিপ্রম্পটার। তখন এসব নিয়ে ভাবার সময় ছিল না, কারণ আমি যুদ্ধ থামাতে আর প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলাম। পরে বুঝলাম, জাতিসংঘ আসলে আমাদের জন্য কিছুই করেনি।” জাতিসংঘের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “যদি সংস্থাটি কার্যকর না হয়, তবে এর উদ্দেশ্য কী? জাতিসংঘের অসাধারণ সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু সংস্থাটি তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। এখন তারা যা করে তা হলো কঠোর ভাষায় চিঠি লেখা—এরপর আর কিছুই না।” জাতিসংঘের অকার্যকারিতা নিয়ে তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 【সূত্র: আল-জাজিরা】