মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে তাঁর শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন, যেখানে ভেনেজুয়েলা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকের পটভূমিতে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে বড় ধরনের নৌসেনা মোতায়েন করেছে এবং ভেনেজুয়েলার ওপর থেকে মাদক পাচারের সন্দেহে নৌকাগুলোতে বোমা বর্ষণসহ সতর্কবার্তা দিচ্ছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বৈঠকের বিস্তারিত প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকলেও, তিনি মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের হাতে বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে এবং তিনি সেসব নিয়ে কথা বলবেন। অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা ও ‘দাসত্বের শান্তি’ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তারা সার্বভৌমত্ব, সমতা ও স্বাধীনতার সঙ্গে শান্তি চান, দাসত্ব বা উপনিবেশের শান্তি নয়। কারাকাসে হাজার হাজার সমর্থকের সামনে তার বক্তব্যে ভেনেজুয়েলার প্রতি দৃঢ় অবস্থান প্রতিফলিত হয়। মাদুরোর সঙ্গে ট্রাম্পের জানুয়ারিতে ফোনালাপ হয়েছে, তবে এর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, সম্ভাব্য বৈঠক ও সাধারণ ক্ষমার শর্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রিপাবলিকান সিনেটর মার্ক ওয়াইন মুলিন যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে রাশিয়া বা অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে ‘কার্টেল অব দ্য সানস’ নামে একটি মাদক চক্রের প্রধান হিসেবে অভিযুক্ত করে পাঁচ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তবে ভেনেজুয়েলা ও তার মিত্র দেশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং মাদুরোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বৈধতা প্রত্যাখ্যান করেছে। ভেনেজুয়েলা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা দিন দিন বেড়েই চলেছে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সূচনা করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত এবং মাদুরোর প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।