শান্তিতে নোবেল পুরস্কার এবার চলে গেল ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোর হাতে। স্বৈরাচার বিরোধী সাহসী সংগ্রামী হিসেবে তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। তবে এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নিতে পারেনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন। এ নিয়ে হোয়াইট হাউস প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং পুরস্কার প্রদানের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিজের অবদান তুলে ধরতে তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি গাজা যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ে চুক্তির ঘোষণাও দেন তিনি। বেশ কয়েকবার জনসম্মুখে তিনি দাবি করেছেন, তার শান্তি প্রচেষ্টার স্বীকৃতি স্বরূপ নোবেল তারই প্রাপ্য। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চুং ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে এক বার্তায় জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাচ্ছেন এবং মানবতার স্বার্থে জীবন রক্ষা করছেন। তার মতে, নোবেল কমিটি শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ট্রাম্পের মতো মানবতাবাদী নেতা বিরল। এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সমর্থকরা গাজা চুক্তি উদযাপন করছেন এমন ভিডিও শেয়ার করেছেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে আটটি যুদ্ধের ইতি টেনেছেন, যা শান্তির নোবেলের জন্য যথেষ্ট কারণ। নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমার শেষ তারিখ ছিল ৩১ জানুয়ারি। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর কিছুদিন পরই এ মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হয়। তবে পুরস্কার না পাওয়াকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বড় অপমান’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য, নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মারিয়া কোরিনা মাচাদো ভেনেজুয়েলায় স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন বলেই তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে মার্কিন রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম নিয়েছে।