শিক্ষা ডেস্ক:
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে না বেরিয়ে আসার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) এ বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কমাতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি চালু করা হয়। তবে ইতিমধ্যে দুটি গুচ্ছভুক্ত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে গেছে। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে।
শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি অব্যাহত রাখার দাবিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন এবং চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট ভিসিদের চিঠি পাঠিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জনমনে আস্থা অর্জন করেছে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য যাতায়াত, আবাসন এবং অন্যান্য খরচ বহুলাংশে কমেছে। একই সঙ্গে মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি প্রক্রিয়া নিশ্চিত হয়েছে।”
এতে আরও বলা হয়, গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গুচ্ছ পদ্ধতির সুফল বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ পদ্ধতি বহাল রাখার আহ্বান জানানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে পৃথক ভর্তি কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে। এটি জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটি সভা করেছে এবং গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখতে একটি পত্র জারি করেছে। পাশাপাশি শিক্ষা উপদেষ্টার স্বাক্ষরিত একটি আধা-সরকারি পত্রও ভিসিদের পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, “প্রত্যেক ভিসি যেন তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলো।”
শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ পদ্ধতি চালু রাখা জরুরি বলে উল্লেখ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।