শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
থমথমে গোপালগঞ্জে আতঙ্ক! অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণার ইচ্ছা নেই সরকারের জুলাই কন্যা দিবসে শারমীন এস মুরশিদের শক্তিশালী বার্তা: “অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবারই ধেয়ে আসবে জুলাইয়ের কন্যারা” মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে  গ্রেপ্তার ও তদন্তের বিস্তারিত মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে তারেক রহমানের অভিযোগ ও আহ্বান টানা বৃষ্টিতে সারা দেশে বিপর্যস্ত জনজীবন : ফের ভয়ংকর রূপে বন্যা সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ: ডিএমপি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব অধ্যাপক হালুক গরগুনের ঢাকা সফর: প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা: জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীর ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় মূল হোতা গ্রেফতার

যেকারো ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতি নিয়ে আর বিভাজন নয় : ফারুকী

bornomalanews
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
  • ১১১ Time View

দেশের ইসলামী সাংস্কৃতির এক অতি মর্যাদাপূর্ণ পথিকৃৎ সংগঠন, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর ইফতার মাহফিলটি এক মহামূল্যবান আয়োজন হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৯ মার্চ, বুধবার, রাজধানীর ধানমণ্ডির হোয়াইট হল রেস্টুরেন্টে এই বিশেষ ইভেন্টটির আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার বক্তব্যের মাধ্যমে গুণগত আলোচনার স্রোত বয়ে যায়, যেখানে তিনি বলেছেন, “ধর্মবিশ্বাসের ভিত্তিতে বিভাজন নয়, বরং পরস্পর শ্রদ্ধাবোধের বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার।” তার কথাগুলো যেন একটি শক্তিশালী আভাস, একটি দেশ গড়ার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

ইফতার মাহফিলের সম্মেলনে, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা আরও গভীরভাবে বলেন, “বাঙালি সংস্কৃতির অজুহাত দেখিয়ে ইসলামী সংস্কৃতিকে বিভাজন করা হয়েছিলো, যার কারণেই ৫ আগস্টের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সংস্কৃতি, যে সংস্কৃতি সব ধর্ম, সমাজ, এবং বিশ্বাসকে একত্রিত করে তৈরি, তা এই দেশেরই অমূল্য অংশ। বিভাজন নয়, পরস্পর শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই।” তার এই বক্তৃতা, যেন এক বাণী, যা আমাদের জাতিকে একত্রিত হতে আহ্বান করে।

এদিকে, ইফতার মাহফিলের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সাইমুমের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে, সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান শিল্পী, কবি, নাট্যকার, অভিনেতা, গীতিকার, এবং সুরকারদের এক মিলনমেলা। এই মিলনমেলায় এক ঐতিহাসিক ঐক্যের সূচনা ঘটে, যেখানে সাইমুম শিল্পী মহল একত্রিত হয়ে সাংস্কৃতিক এক নতুন আলোচনার জন্ম দেয়। শিল্পী জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সহকারী পরিচালক হাফেজ নিয়ামুল হোসাইনের সঞ্চালনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি, জাহিদুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন মুহাদ্দিস মুফতি কাজী ইব্রাহীম, যিনি ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ইফতার মাহফিলের এই মিলনমেলায়, সাইমুম শিল্পীরা তাদের প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করেন, এবং পশ্চিমা এবং বিদেশী সংস্কৃতির মোকাবিলায় ইসলামী এবং দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে একত্রিত হন। পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রয়াত কবি মতিউর রহমান মল্লিক, সাবেক সভাপতি কবি আসাদ বিন হাফিজসহ প্রয়াত সব শিল্পীদের স্মরণ করা হয়, এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

তবে, ইফতার মাহফিলের শেষ অংশে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়, যা উপস্থিত সবাইকে এক হৃদয়ে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানায়। সেখানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধে একত্রিত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়, যেন মানবতার জন্য এক নতুন রূপান্তর সম্ভব হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102