বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ অফিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ একটি অপকৌশল হিসেবে দেখছেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, এই হামলার পেছনে আসন্ন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না তা তদন্ত করা হোক। সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও স্বার্থান্বেষী একটি মহল পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে, যা শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট। ওসমান হাদি, যিনি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন, তাঁর হত্যাকাণ্ডের পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতার কথাও সমর্থকরা বলছেন। তিনি বলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাই এ ধরনের সহিংসতা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সরকারের উচিত ছিল আগাম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সতর্কতা নেওয়া, কারণ হামলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু টার্গেট স্থান আগেই নির্ধারণ করা হয়েছিল। সালাহউদ্দিন আহমদ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সরকারের ব্যর্থতারও তীব্র সমালোচনা করেন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, সহিংসতার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে থামানো সম্ভব হবে না। এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তিনি জানান, নিরাপত্তাজনিত বিষয় নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে সমন্বয় চলছে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।