টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম এবং মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম সেজে উঠতো বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার সব প্রস্তুতিতে। কিন্তু পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্বকাপের আয়োজনের মর্যাদা হারিয়েছে বাংলাদেশ। এখন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আজ মিরপুর শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের অফিসিয়াল ফটোসেশন হয়েছে। এরপর সাংবাদিকদের সামনে হাজির হন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
৩ অক্টোবর আরব আমিরাতের শারজায় শুরু হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। অংশগ্রহণকারী ১০ দলকে ভাগ করা হয়েছে ২ গ্রুপে। বাংলাদেশ রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। এই গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ খেলতে নামবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় জয় দিয়ে শুরু করতে চায় টাইগার ক্রিকেটারারা।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্যের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক জ্যোতি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ দল সেমিফাইল খেলতে চায়। প্রথমত ম্যাচ জিততে চান তারা। নিগার সুলতানা বলেন, ‘প্রথমত চাই ম্যাচ জিততে। দ্বিতীয়ত যখন আমরা ফ্লো পাব, আমার কাছে মনে হয় আমাদের যে দল…, অবশ্যই…, সেমিফাইনাল কে না খেলতে চায়। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেভাবেই।’
২০১৪ সালের পরের বিশ্বকাপগুলোতে বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ জেতেনি। এ কারণে বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য কোনো একটি ম্যাচ জয়। এরপর না হয় সেমিফাইনাল খেলবে। নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমত ম্যাচ জিততে চেষ্টা করব। ২০১৪ ছাড়া একটা বিশ্বকাপেও আমরা একটি ম্যাচও জিততে পারিনি। ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে ভালো ক্রিকেট খেলার কোনও মানে নাই, যদি আপনি ম্যাচ জিততে না পারেন।’
দেশের নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে হলে বিশ্বকাপই সবচেয়ে বড় মাধ্যম বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে আমাদের ক্রিকেটটা যদি একধাপ এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে বিশ্বকাপের চেয়ে বড় মঞ্চ আর হতে পারে না। ওখানে ভালো পারফরম্যান্স করলে শুধু আমরা না, যারা বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলে, বাকি যে মেয়েরা…, যারা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে চায় তাদের জন্য আমরা ভালো কিছু করতে চাই।’তবে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে হলে প্রথম ম্যাচ জিততেই হবে। তবে ম্যাচটি সবচেয়ে বেশি স্পেশাল, নিগার সুলতানা জ্যোতির জন্য ওটা হবে শততম ম্যাচ। এ কারণে তিনি আরও বেশি উন্মুখ হয়ে আছেন ম্যাচটি খেলার জন্য। জ্যোতি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ স্পেশাল…। তো প্রথম ম্যাচ জিততে চাই। আমার জন্য এটা সব থেকে স্পেশাল। আমার জন্য এবং আমার দলের জন্য এটা অনেক বড় একটা অর্জন হবে। অবশ্যই.. একজন প্লেয়ার হিসেবে একশতম ম্যাচ, আমি এখনও জানি না খেলতে পারব কিনা। যদি আল্লাহপাক সুস্থ রাখেন তাহলে তো অবশ্যই খেলব। যদি খেলি, প্রথম লক্ষ্য এটাই থাকবে যেন জিততে পারি।’