জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলাসহ দেশব্যাপী চালানো তাণ্ডবের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ প্লাটফর্ম।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি মশাল মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘দফা এক, দাবি এক দালাল চুপ্পুর পদত্যাগ’, ‘স্বৈরাচারের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করো, করতে হবে’, ‘ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করো, নিষিদ্ধ করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নিষিদ্ধের দাবি জানায়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিলে অরাজকতার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।দেশের এই পরিস্থিতিতে আজকে আমরা দেখলাম রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো ডকুমেন্ট নেই। দেশের এই পরিস্থিতিতে শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর এরকম বক্তব্য আমাদের মনে সন্দেহের তৈরি করছে। কিন্তু আমরা বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবেই আর আওয়ামী লীগকে গ্রহণ করবে না। আওয়ামী লীগ যদি ফিরে আসার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা প্রয়োজনে আরো একবার গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিবো।বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ প্লাটফর্মের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘প্রত্যেকের পদত্যাগপত্রের প্রয়োজন হলেও যাদের পতন হয় তাদের পদত্যাগপত্রের প্রয়োজন হয় না। আমরা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এখানে শেখ হাসিনার আলাদা পদত্যাগপত্রের কোনো দরকার নাই৷ রাষ্ট্রপতির হওয়া উচিত নিরপেক্ষ কিন্তু আজকে শাহাবুদ্দিন চুপ্পু তার বক্তব্যের মাধ্যমে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তিনি যদি অতিসত্বর পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবো। একইসঙ্গে সারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, আমরা সেসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।