মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার কিছু সিদ্ধান্তে আপত্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব হয়, এমন বিষয়গুলো নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে এবং এজন্য স্পষ্ট আপত্তি জানানো হয়েছে। সিইসির বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় নির্বাচনে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সিইসি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় তাদের সমর্থন থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং ইইউ মনে করে যে, নির্বাচনের আগে সংস্কার করার যা প্রয়োজন, তার জন্য সময়সীমা কম।”
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এই বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করার ইচ্ছার কথা জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করার জন্য ইইউ বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। তবে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, নির্বাচনের আগে যথেষ্ট সংস্কার করা না হলে তা নির্বাচনী পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে।
সিইসির বক্তব্য এবং ইইউ কর্মকর্তাদের পরামর্শ প্রমাণ করে যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের স্বাধীনতা রক্ষা করা আবশ্যিক। বর্তমান পরিস্থিতি এবং ইইউ’র সহযোগিতার পটভূমিতে একটি কার্যকর নির্বাচনের জন্য সঠিক সমাধান বের না করলে দেশের গণতান্ত্রিক চিত্রে মারাত্মক পরিবর্তন ঘটতে পারে।