যখন এনআরবিসি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হওয়ার অপেক্ষায়, তখন আবারও অর্থনৈতিক অসাধুতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যা জড়িত করেছে ব্যাংকের প্রাক্তন আওয়ামী লীগ নেতাদের। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফরাছত আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি তৌফিক রহমান চৌধুরী, এবং যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের নেতা সরোয়ার জামান চৌধুরী।রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যাংকটি ৮০০ কোটি টাকা লোপাট, পরিচালকদের স্বাক্ষর জালিয়াতি, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্য প্রদান করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে এসব ঘটনায় জড়িত সাবেক চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন পরিচালককে শাস্তি দিয়েছে।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই ভুয়া বিল এবং ভাউচার তৈরির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ তদন্ত করছে। ব্যাংকের তিনজন উদ্যোক্তা পরিচালক – ব্যাংকের পরিচালক ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক লকিয়ত উল্ল্যাহ, এবং উদ্যোক্তা ও সাবেক পরিচালক সাইদুর রহমান – বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ না দিতে।এটি প্রথমবার নয়, এনআরবিসি ব্যাংক এর কার্যক্রম বিভিন্ন বিতর্কে জড়িত হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর পুনরুত্থান বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সততা ও স্বচ্ছতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, যা বিশাল নিয়ন্ত্রক তত্ত্বাবধান এবং দায়বদ্ধতা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।