ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুল)-এর শিক্ষার্থীরা নিজেদের চতুর্থ দাবির আদায়ের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের শিরোনাম দাবি: দশম গ্রেডে শূন্যপদে নিয়োগসহ একাধিক শর্তের বাস্তবায়ন। আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে দেশব্যাপী ২১৬টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
রোববার, জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাটসের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুল ইসলাম শান্ত (হাসিব) এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে।
হাসিবুল ইসলাম শান্ত মন্তব্য করেন, “গত মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের চার দফা দাবির বাস্তবায়নসহ নিয়োগ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি কার্যকর না হওয়ায়, আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি।”
ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের প্রধান চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: অবিলম্বে দশম গ্রেডে শূন্যপদে নিয়োগ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ সৃষ্টি, চার বছরের একাডেমিক কোর্স বহাল রেখে কারিকুলাম সংশোধন এবং ভাতা সহ এক বছরের ইন্টার্নশিপের সুযোগ প্রদান।
এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি সামনে এনেছে—তাদের মতে, প্রস্তাবিত ‘অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড’ বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং বিএমডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগও নিশ্চিত করতে হবে।
এই চার দাবিতে গত ৬ মাস ধরে আন্দোলন করে চলেছে তারা, আর এই ধারাবাহিক প্রতিবাদ তাদের তরফ থেকে একটি দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
দেশজুড়ে মোট ১৬টি সরকারি এবং ২০০টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল রয়েছে, যেখানে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ‘ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। এই ডিগ্রি অর্জন করে তারা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।
এখন প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে স্বাস্থ্য খাতে এই শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে? তাদের আন্দোলন শুধু একটি শিক্ষাগত দাবি নয়, বরং এটি দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে অবহেলিত অংশের প্রতি একটি বড় ধরনের প্রতিবাদ।