পাকিস্তান থেকে সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা ২৬ হাজার ২৫০ টন চালের প্রথম চালানটি গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে, এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে। বুধবার, দুপুর ২টার দিকে, একটি জাহাজ বন্দরের কনটেইনার টার্মিনালে নোঙর করে, এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে রাতেই চাল খালাস শুরু হবে।
এই চালানটি শুধু একটি পণ্য চালান নয়; এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে সরকারি ব্যবস্থায় সরাসরি বাণিজ্য চালুর ঘটনা। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরকারি (জিটুজি) চুক্তির আওতায় কেনা এই চালের প্রথম চালানটি এসেছে। গত ১৪ জানুয়ারি, ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল, যার অধীনে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানি করা হবে।
ফুড ডিপার্টমেন্টের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের দপ্তর জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে আমদানি করা এই চালের প্রথম চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে গত ৪ মার্চ রাত ২টায় পৌঁছায়। তার পর, গতকাল বুধবার, দুপুর ২টায়, জাহাজটি বন্দরের সিসিটি-১-এ ভিড়েছে, যা পুরো প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এটি শুধুমাত্র একটি বাণিজ্যিক চুক্তি নয়, এটি দুই দেশের সম্পর্কের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান (টিসিপি) এবং বাংলাদেশ খাদ্য অধিদপ্তরের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই পদক্ষেপ দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন গতি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও শক্তিশালী হবে।
তবে, এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র চাল আমদানির বিষয় নয়; এর মাধ্যমে সরকারি পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থারও এক নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে।