অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের পর, এবার ঈদের তারিখ ঘোষণা করেছে ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া। এই তিন দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার (২৯ মার্চ) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে, সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
বাংলাদেশেও প্রতিবছর রমজান শেষে ঈদের চাঁদ দেখা এবং ঈদ উদযাপন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হয় ঈদের আনুষ্ঠিকতা। এবারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ মার্চ অর্থাৎ ২৯ রমজানে সূর্যাস্তের সময় শাওয়াল মাসের চাঁদের বয়স হবে ১.০৫ দিন। আর পরের দিন, ৩১ মার্চ, তা ২.০৫ দিন হবে। এই সময় চাঁদের স্থায়িত্ব ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় ৪৩ মিনিট এবং পরের দিন আকাশে চাঁদের উপস্থিতি থাকবে ৫১ মিনিট।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, যদি আকাশ মেঘমুক্ত থাকে, তবে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় খালি চোখেই দেখা যেতে পারে শাওয়াল মাসের চাঁদ। সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে একই দিনে ঈদ উদযাপনের বিষয়ে আলোচনা উঠলেও, ইসলামি চিন্তাবিদরা কোরআন এবং হাদিসের নির্দেশনাকে মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে একই সময়ে ঈদ উদযাপন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে ইসলামি ফাউন্ডেশন থেকে।
৩০ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিটের মধ্যে চাঁদ দেখার সময় নির্দিষ্ট করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়সীমার মধ্যে, চাঁদ দেখা গেলে, তা হবে ঈদের আনন্দের সূচনা। তবে, এই আনন্দের পেছনে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস, ঐতিহ্য এবং সামাজিক সংহতির এক গভীর অনুভূতি।