ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১০২ জন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে, যা হুথি-সমর্থিত গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এই হামলাটি দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আল মাসিরাহ টেলিভিশনের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, হোদাইদা স্বাস্থ্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনী জানায়, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুথি যোদ্ধাদের জ্বালানির উৎস ধ্বংস করে তাদের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করা। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক সামাজিক মাধ্যমে পোস্টে জানায়, “এই হামলার লক্ষ্য ছিল হুথিদের অর্থনৈতিক শক্তির উৎসকে দুর্বল করা, যারা তাদের নিজ দেশের মানুষদের ওপর দুঃখ-কষ্ট চাপিয়ে যাচ্ছে।” এদিকে, হুথিদের দেওয়া প্রাণহানির সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে পেন্টাগন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এটি হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযানের অংশ, যা ২০২৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই হামলার পর ইয়েমেনের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যেখানে মানবিক সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এই হামলার প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, এবং এটি ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।