যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষতি নিয়ে পেন্টাগনের নতুন মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। এই হামলার পর পেন্টাগন তাদের মূল্যায়ন প্রকাশ করলেও হামলার প্রভাব এবং এর ফলস্বরূপ ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে এখনও অনেক অস্বচ্ছতা রয়ে গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই হামলার কার্যক্রম ও এর ফলাফল সম্পর্কে নতুন তথ্য উপস্থাপন করেন।
হেগসেথ এবং কেইন জানিয়েছিলেন যে হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনাটি, তবে তারা নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের অন্যান্য দুটি স্থাপনার বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। হামলার পর ফোর্দো স্থাপনাতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়, কারণ সেখানে আঘাত হানার পর ভেতরের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে বড় খননকাজ প্রয়োজন। তাদের বক্তব্য, ওই এলাকা কারও প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত নয় এবং ময়দানে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করছে গোয়েন্দা সংস্থা সমূহ।
ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ) এর পেন্টাগনের প্রাথমিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে যে, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস হয়নি, তবে হামলা তার পরিকল্পনাকে কয়েক মাস বিলম্বিত করেছে। তবে সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ পরে বলেছিলেন যে, হামলায় যেসব স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, সেগুলোর পুনর্নির্মাণে কয়েক বছর লাগবে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এমন একটি দাবি করেছেন, যার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখানো হয়নি। ট্রাম্পের দাবি, হামলার আগে ইরান গোপনে ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেয়নি, বরং সেখানে কংক্রিট ঢালাইয়ের শ্রমিকরা ছিলেন, যারা টানেলের ওপরের অংশ ঢাকার চেষ্টা করছিলেন। তবে পেন্টাগন এই দাবির ব্যাপারে কোনো পরিষ্কার উত্তর দেয়নি।
এই হামলার প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন বিদ্যমান। বিশেষত, গোপনে ইউরেনিয়াম সরানো হয়েছে কিনা, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা এবং স্থাপনাগুলি পুনর্নির্মাণের জন্য কত সময় ও খরচ প্রয়োজন—এই সব বিষয়ে এখনও অনেক কিছু পরিষ্কার নয়।