চীন বৃহস্পতিবার কিংডাও শহরে ইরান ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে, যেখানে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে তারা একমত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি এবং ইউরোপে ন্যাটো দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনের সময় এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বেইজিং অনেক দিন ধরে এসসিওকে (সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা) পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন শক্তি ব্লকগুলির বিরুদ্ধে একটি প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞানে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চীন এই সংস্থার গুরুত্ব তুলে ধরছে।
কিংডাও বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সামরিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে বর্তমান পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
রাশিয়ার যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চীন নিজেকে একটি নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে উপস্থাপন করেছে, যদিও পশ্চিমা শক্তির দাবি অনুযায়ী, চীন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মস্কোকে অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সহায়তা প্রদান করছে। চীন ও রাশিয়ার সম্পর্কের গভীরতা বৈঠকে আলোচনার বিষয় হতে পারে।
এছাড়া, ইরান, ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান যুদ্ধ এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি কিংডাও বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে। যুদ্ধের সময় বেইজিং ইরানকে কূটনৈতিক সহায়তা দিলেও, এই অঞ্চলে তার প্রভাব সীমিত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
এ বৈঠক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সামরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দেয়, যা বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামরিক পরিস্থিতিতে নতুন পরিবর্তন আনতে পারে।