দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি আদায়ে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে। কুমিল্লায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে এবং কারিগরি শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটক লাল কাপড়ে ঢেকে দেওয়ার পাশাপাশি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’ এর পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। সংগঠনের সেল সম্পাদক মো. সাব্বির আহমেদ জানান, তারা মহাসড়কের দুই পাশে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। এর আগে, শুক্রবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেন, যা তাদের আন্দোলনের তীব্রতা ও সংকল্পকে প্রতিফলিত করে।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, সরকারকে দ্রুত তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব।” তিনি কুমিল্লায় হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যদিকে, শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, “এই সরকার আমাদের সরকার, শিক্ষার্থীদের সরকার।” তিনি কারিগরি শিক্ষা সেক্টরে বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল করেন। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হয়ে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন মূলত তাদের অধিকার ও বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে। তারা দাবি করছেন, জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিল করতে হবে এবং ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগ বিধি বাতিল করতে হবে। এছাড়া, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মেয়াদ চার বছর রাখতে হবে এবং মানসম্মত সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান, যাতে তাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়িত হয়। তারা আশা করছেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার সেক্টরে বৈষম্য দূর হবে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত হবে।