সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আগামীকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এই আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বৈশ্বিক সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য দেশে একটি শক্তিশালী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সবাই এই লক্ষ্যে কার্যকর অবদান রাখবেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫’ উদযাপনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘আইপি এন্ড মিউজিক: ফিল দ্য বিট অব আইপি’ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। সংগীতের ভূমিকা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংগীত একটি সর্বজনীন ভাষা, যা হৃদয়ের গভীরে প্রতিধ্বনিত হয় এবং আমাদের ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যময় শিল্পধারাকে প্রতিফলিত করে। তিনি উল্লেখ করেন, লোকগান থেকে শুরু করে আধুনিক গানের মূর্ছনায় আমাদের শিল্পীরা প্রতিনিয়ত বিশ্বকে মুগ্ধ করে চলেছেন। তিনি আরও বলেন, সংগীত শিল্পের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ গড়ে তুলতে মেধাসম্পদ আইন ও নীতির যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন। এতে শিল্প ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। এই আহ্বান ও উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের মেধাসম্পদের সঠিক ব্যবহার এবং সৃজনশীলতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।