বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলন এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং কোষাধ্যক্ষকে অব্যাহতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর আগে, গত ৬ মে ইউজিসি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘন ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই পিএ-টু-ডিসি পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থি। এছাড়া, সিন্ডিকেটের অনুমোদন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের পিআরএল স্থগিত করে তাকে পুনরায় দায়িত্বে বহাল রাখা হয়। এমনকি, উপাচার্য নিজেই রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যা নজিরবিহীন এবং ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬’-এর ১১ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমান উপাচার্যের প্রশাসনিক দক্ষতায় ঘাটতি রয়েছে এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধি প্রতিপালনে পর্যাপ্ত সচেতন নন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা উপাচার্যের বাসভবনে তালা লাগিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং শিক্ষার পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।