আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) ক্রিকেটের একাধিক নিয়ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আগামী মাস থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। নতুন নিয়মের আওতায় আসছে টেস্ট ক্রিকেট এবং সাদা বলের ক্রিকেট, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। জুন মাসের ১৭ তারিখ থেকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম টেস্ট ম্যাচ থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। এই ম্যাচের মাধ্যমে শুরু হবে নতুন নিয়মের যুগ, যা আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রভাব ফেলবে। ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হবে, যেখানে কনকাশন সাবের নতুন নিয়ম চালু হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কনকাশন সাব হিসেবে যে কাউকে নামানো যাবে না। খেলা শুরুর আগে দলগুলোকে পাঁচ জন ক্রিকেটারের তালিকা জমা দিতে হবে, যাতে একজন ব্যাটার, একজন উইকেটরক্ষক, একজন পেসার, একজন স্পিনার এবং একজন অলরাউন্ডার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই তালিকা থেকেই বদলি ক্রিকেটার নামাতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো স্পিনার আহত হন, তবে তার পরিবর্তে ব্যাটার নামানো যাবে না; তালিকায় থাকা স্পিনারকেই নামাতে হবে। কনকাশন সাবের ব্যাপারে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাচ রেফারি। একদিনের ক্রিকেটেও আইসিসি পরিবর্তন আনছে। এতদিন একদিনের ম্যাচের প্রতিটি ইনিংসে দু’টি বল ব্যবহার করা হতো, যেখানে পিচের দু’প্রান্ত থেকে দু’টি বল খেলা হতো। তবে নতুন নিয়মে ৩৪ ওভার পর্যন্ত আগের মতোই দু’টি বল ব্যবহার করা হবে। ৩৫তম ওভার থেকে একটি বল দিয়ে খেলা হবে। ১৭ ওভার খেলার পর যে বলটি অপেক্ষাকৃত ভাল অবস্থায় থাকবে, সেটি দিয়ে বাকি ১৬ ওভার খেলা হবে। বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে যদি ওভারের সংখ্যা কমে ২৫ বা তার কম হয়, তবে পুরো ইনিংসই একটি বলে খেলা হবে। ইনিংসের কোনো সময় বল পরিবর্তন করতে হলে, ভালো বল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। যে বলটি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে, সেই বল দিয়ে যত ওভার খেলা হয়েছে, অন্তত তত ওভার খেলা হওয়া বলই পাওয়া যাবে পরিবর্তন হিসেবে। এছাড়া, যে বলে ৩৪ ওভারের পর খেলা হবে না, সেই বলটিও প্রয়োজনে বদলি হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। নতুন নিয়মের আওতায় একদিনের ক্রিকেটের পরিবর্তনও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে শুরু হবে, যেখানে আগামী ২ জুলাই প্রথম একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আইসিসি জানিয়েছে, বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরা এবং ডিআরএস নেওয়ার নিয়মেও কিছু পরিবর্তন আসছে, তবে এই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও জানানো হয়নি। নতুন নিয়মগুলো ক্রিকেটের গতিশীলতা এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশকে আরও উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।