অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার বিকেলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন। এই বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের তুলনায় কিছুটা ছোট হলেও এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । দাম বাড়ার সম্ভাবনা বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, যা তাদের দাম বাড়াতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিগারেট, অনলাইন কেনাকাটা, রড, সাবান-শ্যাম্পু, দেশে তৈরি মোবাইল ফোন, গৃহস্থালি প্লাস্টিক সামগ্রী, এলপিজি সিলিন্ডার, ফ্ল্যাট, বলপয়েন্ট কলম, হেলিকপ্টার সার্ভিস, এবং দেশে তৈরি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য। এছাড়া ওটিটি কনটেন্ট এবং বাণিজ্যিক ভবনের ক্ষেত্রেও কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে । দাম কমার সম্ভাবনা অন্যদিকে, কিছু পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাবও বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চিনি, স্যানিটারি ন্যাপকিন, আইসক্রিম, ভূমি নিবন্ধন ফি, ক্যানসারের ওষুধ, ইনসুলিন, এলএনজি, দেশি তৈরি ই-বাইক, মাটির পাত্র, এবং কম্পিউটারের বড় মনিটর। এসব পণ্যের ওপর কর হ্রাসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করার চেষ্টা করা হয়েছে । বাজেটের লক্ষ্য ও প্রভাব এই বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ওপর আর্থিক চাপ কমানো। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর আদায় এবং বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে । এই বাজেটের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার একটি বাস্তবসম্মত এবং সময়োপযোগী আর্থিক পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।