যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ পারমাণবিক প্রস্তাবকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে না ইরান। দেশটি শিগগিরই ওমানের মাধ্যমে একটি পাল্টা প্রস্তাব পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে নতুন করে পারমাণবিক আলোচনা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শিথিলের দাবি বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। বরং নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় ওয়াশিংটনের দ্বিমুখী আচরণে সন্দেহ আরও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা (IAEA) যদি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তেহরান সহযোগিতা কমিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাবে। বাঘাই আরও বলেন, ইরান শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সংলাপ ও সহযোগিতার নীতিতে অটল রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আইএইএ এখন যুক্তরাষ্ট্র ও তিনটি ইউরোপীয় দেশের রাজনৈতিক চাপে পড়েছে। সংস্থাটির তৈরি তথাকথিত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনকে সামনে রেখে ইরানের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাসের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরানের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বলেও দাবি করেন মুখপাত্র। এদিকে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, আগামী দুই দিনের মধ্যেই ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি লিখিত পাল্টা প্রস্তাব পাঠাবে। এতে নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অবস্থান স্পষ্ট করা হবে। পাশাপাশি, কার্যকর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হবে। এ বিষয়ে অবহিত একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরান তাদের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত থাকলে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারও পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত থাকবে। বর্তমানে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও পারমাণবিক আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও কঠোর বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।