দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজ চ্যানেলের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা যা করার দরকার, তা করি।” নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা এবং সরকারের পরিবর্তনের সম্ভাব্য ফলাফলকে নির্দেশ করে। নেতানিয়াহু আরও জানান, তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তবে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে তিনি সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।” এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু সেই পরিকল্পনা আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার প্রথম দিনেই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদে থাকা প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়, এবং এ হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন। মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, “ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশ্বস্ত করে বলেন, এই সংঘাত সহজেই থামানো যেতে পারে। তিনি ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেন, “যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।” এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।