বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর নব-নির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বর্তমান ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যুদ্ধের ফলে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে তা পুরো শিল্পের উপর প্রভাব ফেলবে, যা এ খাতের জন্য উদ্বেগজনক। মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, পোশাক শিল্প বর্তমানে নানা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপ, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল, উচ্চ ব্যাংক সুদ, মুদ্রাস্ফীতি, মজুরি বৃদ্ধি এবং জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে শিল্পটি এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই অবস্থায় প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ধরে রাখতে হলে অনেক কাজ করতে হবে এবং তিনি সকলের সহযোগিতায় এই কাজগুলো সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নব-নির্বাচিত সভাপতি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় তারা অনেকগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পোশাক শিল্পের জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন, এসএমই ও নন-বন্ডেড পোশাক কারখানাকে বাড়তি সুবিধা প্রদান, কাস্টমস ও ভ্যাট নিয়ে কাজ করা, এলডিসি উত্তরণের প্রভাব নিয়ে আলোচনা এবং মার্কিন শুল্কের সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিজিএমইএ’র প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, দল মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে শিল্পে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বন্ডেড ওয়্যারহাউস, সার্কুলার ইকোনমি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আপনারা পণ্য রপ্তানি করেন না, আপনারা জাতির স্বপ্ন রপ্তানি করেন।” সভা শেষে সম্মিলিত পরিষদের পক্ষ থেকে নতুন পরিচালনা পর্ষদকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। বিকেএমইএ এবং নন-বন্ডেড এসএমইএদের পক্ষ থেকেও নতুন পর্ষদকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এভাবে বিজিএমইএ’র নতুন নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।