মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে তুরস্ক সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। দেশটি ইরানের সঙ্গে থাকা সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক গোপন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের বিস্তার ঠেকাতে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক স্তরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তুরস্ক-ইরান সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং সীমান্ত নজরদারি প্রযুক্তির ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত ইরান থেকে তুরস্কে শরণার্থীদের প্রবাহ ‘অস্বাভাবিক’ বলে চিহ্নিত হয়নি। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তুরস্কে শরণার্থীদের প্রবেশের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। এটি আঙ্কারার জন্য একটি বড় মানবিক ও নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এদিকে, তুরস্ক এখনও পর্যন্ত ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সরাসরি কোনো পক্ষ নেয়নি। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করছে।