মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরান তাদের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রের বহর ছুড়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি আঘাত হানার আগেই ইসরায়েলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করেছে। তবে, এর পরেও সারা দেশজুড়ে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে এবং নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ (পূর্বে টুইটার) মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তবে, কিছু সময় পর ইরান থেকে আরও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে, যা মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত ছিল। এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইতিমধ্যে ইরানের ছয়টি বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের সামরিক অবকাঠামো। এসব হামলায় ইরানের ১৫টি সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই পাল্টাপাল্টি হামলার পর আঞ্চলিক পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হতে পারে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হামলা শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের সীমা অতিক্রম করতে পারে না, বরং পুরো অঞ্চলে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যেকোনো সময় পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে, যার ফলে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হল, মধ্যপ্রাচ্যে এই উত্তেজনার পরিণতি কী হতে চলেছে? আন্তর্জাতিক মহল এ নিয়ে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করবে কি না, তা সময়ের সঙ্গে পরিষ্কার হবে। তবে, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এই সংঘাতের ধারাবাহিকতা বিশ্ব শান্তির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।