অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে সংস্কার একটি সময়সাপেক্ষ বিষয় এবং এটি নির্বাচিত সরকার আসার পরই সম্ভব হবে। শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, বিগত সরকারের আমলে দেশের অনেকেই বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যা ব্যাংকগুলোকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে ঘটেনি।” তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি আর্থিকভাবে দুর্বল ১২টি ব্যাংককে ৫২ হাজার কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করেছে, যা এর আগে ২২ হাজার কোটি টাকার সহায়তার পরবর্তী পদক্ষেপ। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, এই পদক্ষেপগুলো স্থায়ী সমাধান নয় এবং ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। অর্থ উপদেষ্টা সঞ্চয়পত্রের হার বাড়ানোর বিষয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “যদি সঞ্চয়পত্রের হার বাড়ানো হয়, তাহলে সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে এবং ব্যাংকে টাকা রাখবে না। ব্যাংকগুলোতে লিকুইডিটির একটি সমস্যা রয়েছে, যা আমাদের ব্যালেন্স করে দেখতে হয়।” আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে ব্যাংকিং খাতকে সংকটমুক্ত করা যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। ইসলামী ব্যাংককে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন সেখানে আস্থা ফিরে এসেছে।” ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, ব্যাংক রেজ্যুলেশন অ্যাক্টের মাধ্যমে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ যে, যারা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তিনি আশ্বাস দেন যে, কারো টাকা মার যাবে না, যদিও কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী, ওসি শাহীনূর ইসলামসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।