হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) জানায়, ৩ নম্বর কূপের সংস্কার (ওয়ার্কওভার) কার্যক্রম চালানোর পর গত শুক্রবার সেখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রবাহ ধরা পড়ে। এই আবিষ্কার দেশের জ্বালানি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসজিএফএল জানায়, রশিদপুরের এই কূপ থেকে আগামী ১০ বছরে প্রায় ২৫.৫৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্যাসের পাশাপাশি উপজাত হিসেবে কনডেনসেটও পাওয়া যাবে, যা শিল্প ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির বাজারমূল্য ৬৫ টাকা হিসেবে বিবেচনা করলে, এই কূপ থেকে আনুমানিক ৪৭০০ কোটি টাকার গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। এটি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসজিএফএল আরও জানায়, তাদের এবং বাপেক্সের দক্ষ কারিগরি দলের যৌথ প্রচেষ্টায় ৩ নম্বর কূপের সংস্কার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সংস্থাটির আওতায় সিলেট-১০এক্স, সিলেট-১১, ডুপিটিলা-১, কৈলাশটিলা-৯, রশিদপুর-১১ ও রশিদপুর-১৩ নম্বর কূপে খনন কাজ চলছে। পাশাপাশি কৈলাশটিলা-৯ ও বিয়ানীবাজার-২ নম্বর কূপে সংস্কার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। এই আবিষ্কার দেশের জ্বালানি খাতে আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।