চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৭ দিনেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়ে বলেন, প্রবাসী আয় প্রবাহে এ সময় রেকর্ড বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। গত বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১৪৩ কোটি ডলার। তুলনায় দেখা যাচ্ছে, এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। শুধু ১৭ সেপ্টেম্বর একদিনেই এসেছে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক শক্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৬৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। মাসওয়ারি হিসাবে দেখা যায়, গত আগস্টে দেশে এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে এসেছে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে এসেছিল সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স—৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি এখন পর্যন্ত দেশের যেকোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড। অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের আগ্রহ, প্রণোদনা নীতি এবং ডলারের স্থিতিশীলতা এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির মূল কারণ। প্রবাহ অব্যাহত থাকলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও স্থিতিশীল হবে, যা আমদানি ব্যয় সামলানো থেকে শুরু করে সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্বস্তি এনে দেবে।