শায়খ আহমাদুল্লাহ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে শরিয়াভিত্তিক হাউস ও কার লোন চালুর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ইসলামি নীতিমালা মেনে শরিয়াহসম্মত উপায়ে ঋণ নিতে ইচ্ছুক হলেও বর্তমানে এর সুযোগ না থাকায় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই তাদের জন্য শরিয়াহভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকিংয়ের নীতি ও শরিয়াহ মেনে চলার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। শরিয়াহ বোর্ডে যোগ্য, বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে, কারণ অনেকে জানেন না ব্যাংকিং ও শরিয়াহ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও বোর্ডে রয়েছেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য শক্তিশালী আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করেছেন, যা গ্রাহক ও ব্যাংকের মধ্যে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, যারা শরিয়াহভিত্তিক পথে লেনদেন করতে চান, তাদের জন্য বিকল্প পথ থাকা উচিত এবং এটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শরিয়াহভিত্তিক হাউস ও কার লোন চালু করা হলে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে আস্থা বাড়বে এবং তাদের ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সম্মান জানানো হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগকে তিনি প্রশংসনীয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বাস্তবায়নে দৃঢ়তা কামনা করেছেন।