সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

বেইজিংয়ের বাঁধ নির্মাণের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত!

bornomalanews
  • Update Time : শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১১ Time View

চীনের তিব্বতে ইয়ারলুং জাংবো নদে (যা ভারত ও বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত) বেইজিংয়ের নতুন বাঁধ নির্মাণের খবরে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গতকাল শুক্রবার, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমরা চীনকে আমাদের উদ্বেগ ও মতামত জানিয়ে দিয়েছি।”

রণধীর জয়সোয়াল আরও বলেন, “অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ভাটির দেশেরও কিছু অধিকার রয়েছে।” রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে এই অধিকারগুলোর কথা বারবার তুলে ধরা হয়েছে। ভারত সরকারের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রস্তাবিত বাঁধটি নিশ্চিতভাবেই ভারত ও বাংলাদেশের নদীপ্রবাহে প্রভাব ফেলবে, এবং দুই দেশই এ বিষয়ে গভীর চিন্তায় রয়েছে। চীনের এই বাঁধ নির্মাণে আনুমানিক খরচ হবে ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, যা ‘থ্রি গর্জেস’ বাঁধের চেয়ে বড়। এটি নির্মিত হলে, এটি হবে পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, “এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আগে ভাটির দেশের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।” ভারত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তবে, বাস্তবতা হলো, চীন এ ধরনের উদ্বেগের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয় না। ২০২০ সালের সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ভারতীয় দাবিও তারা পুরোপুরি মেনে নেয়নি। তাই, বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে, এমন সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

ব্রহ্মপুত্রে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বা বড় বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হচ্ছে, কিন্তু দুই ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টার কোনো ইঙ্গিত অতীতে ছিল না, এবং এখনও নেই।

এছাড়া, বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি, লাদাখের কিছু এলাকা নিয়ে হোটন প্রদেশে চীন দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল বা কাউন্টি গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি তারা সেই ঘোষণা দিয়েছে, যা ভারত প্রতিবাদ জানিয়েছে।

জয়সোয়াল বলেন, “চীনের দখলদারি ভারত কখনো মেনে নেয়নি, এবং নেবেও না। তাদের এই ঘোষণা ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ওই এলাকা ভারতের ছিল, এবং ভারতেরই থাকবে।” কূটনৈতিক পর্যায়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে।

এভাবে, ভারত ও চীনের মধ্যে এই নতুন বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি কেবল একটি প্রকল্প নয়, বরং এটি দুই দেশের মধ্যে জলসম্পদ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে একটি নতুন দ্বন্দ্বের সূচনা করতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 bornomalanews24.com
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102