তিনি আরও ব্যখ্যা করেন, যখন অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া শুরু হয় তখন দেহের নির্দিষ্ট কিছু বিষয় উষ্কে গিয়ে প্রদাহজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। এর ফলে নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিক যেমন হিস্টামিন্স’য়ের নিঃসরণ ঘটে। দেহ তখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে এসব রাসায়নিক কমাতে চেষ্টা করে আর সেরে ওঠার মাত্রা বাড়ায়। আর এই রাসায়নিকগুলোই অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করে যাকে বলে অ্যালার্জির সমস্যা।
যেসব পুষ্টি উপাদান অ্যালার্জির সমস্যা লাঘবে কাজ করে
যদিও আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তারপরও কিছু পুষ্টি উপাদান অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
তাম্বুরেলো বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে পুষ্টি উপাদানে ভরপুর খাবার খাওয়া প্রদাহের মাত্রা কমাতে পারে। ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস, উদ্ভিজ্জ উপাদান এবং প্রোবায়োটিক্স’য়ের মতো পুষ্টি উপাদানগু্লো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা প্রদাহ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অতি সক্রিয়তা কমাতে পারে।
যেসব খাবার থেকে মিলবে এসব উপাদান
অ্যালার্জি সমস্যা কমাতে নানান ধরনের খাবার সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এমন খাবারের মধ্যে রয়েছে-
মধু: প্রদাহরোধী খাবার হিসেবে পরিচিত মধু অ্যালার্জির সমস্যা নিরসনে কাজ করে। বিশেষ করে কাশি হলে।
আদা: ‘কুয়ের্সেটিন’ সমৃদ্ধ আদা যা অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। জাপানের ‘চুবু ইউভার্সিটি’ পরিচালিত গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, প্রদাহ সৃষ্টি করে এরকম অনেক উপাদানের প্রতিক্রিয়া কমাতে পারে আদা। এর মধ্যে অ্যালার্জির সমস্যাও রয়েছে।
স্যামন: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস সমৃদ্ধ এই মাছ অ্যালার্জির সমস্যা নিরসণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
আনারস: এই ফলে থাকা ‘ব্রোমেলিন’ এঞ্জাইম অ্যালার্জির বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়াও উচ্চ মাত্রায় থাকে ভিটামিন সি। আর এটাও অ্যালার্জির বিরূদ্ধে কাজ করে।
পেঁয়াজ: ‘কুয়ের্সেটিন’য়ের সেরা উৎস। যা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।
হলুদ: উদ্ভিজ্জ উপাদান ‘কারকুমিন’য়ের উৎস এই মসলা। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব রেখে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
টক ফল: সিট্রাস ফল যেমন- কমলা, জাম্বুরা, লেবু- এসব ভিটামিন সি’য়ের সেরা উৎস। ফলে যে কোনো ধরনের অসুখ, অ্যালার্জির সমস্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখে।