মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপনের জন্য জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে এনবিআরে প্রবেশ ও বের হওয়া নিষিদ্ধ, আন্দোলনকারীদের অবস্থান প্রকাশ ইরানে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ২৫০ বাংলাদেশির দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন: সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করলো ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) হজপালন শেষে দেশে ফিরলেন ৪০ হাজার ৫২০ জন হাজি

বাংলাদেশ ভারত নয়,পোশাক রফতানি করছে মালদ্বীপ দিয়ে

bornomalanews
  • Update Time : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৪২ Time View

সম্প্রতি ভারতের বিমানবন্দর ও নৌবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। পরিবর্তে এখন মালদ্বীপের মাধ্যমে গার্মেন্ট পণ্য বিশ্বব্যাপী পৌঁছানো হচ্ছে।

বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের কারণে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে ভারতের নৌ ও বিমানবন্দরগুলো।

শনিবার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

 

লাইভমিন্টকে এমএসসি এজেন্সি (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেডের মহাপরিচালক দীপক তিওয়ারি বলেছেন, “আগে বাংলাদেশের পণ্য ভারতীয় বিমানবন্দরের মাধ্যমে পরিবহন হতো। কিন্তু এখন তারা অন্যান্য রুটে পণ্য পরিবহন করছে। যার অর্থ আগে এসব পণ্যের কার্গো থেকে ভারত যে রাজস্ব পেত সেটি এখন পাচ্ছে না। এমএসসি এজেন্সি (ইন্ডিয়া) ভারতের অন্যতম বড় কার্গো পরিবহন সংস্থা।

দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাক পণ্য জাহাজে করে প্রথমে মালদ্বীপে পাঠাচ্ছে। এরপর সেখান থেকে পণ্যগুলো বিমানে করে বিশ্বব্যাপী গন্তব্যে পৌঁছানো হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে এইচঅ্যান্ডএম এবং জারার মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানির পোশাকও।

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ।

যার অর্থ ভারত দিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিশ্বব্যাপী রফতানি করত ঢাকা। ভারতের বদলে অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পণ্য রফতানি করলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এছাড়া লজিস্টিক এবং কাঠামোগত প্রজেক্টে থাকা সহযোগিতাপূর্ণ সুযোগগুলো শঙ্কায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এক কর্মকর্তা বলেছেন, “বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্তে ভারত সরকার একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছে। যেটি ভারত হয়ে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক পণ্য রফতানির বিষয়টি নিশ্চিত করবে এবং ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে।”

অন্য এক কর্মকর্তা বলেছেন, “বাংলাদেশের রফতানিকৃত এসব তৈরি পোশাক পণ্যের একটি বড় অংশ ভারতীয় অবকাঠামো বা কারখানায় উৎপাদিত হয়। যেগুলো বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় কোম্পানিগুলোই পরিচালনা করে। এই বিষয়টি (ভারত) সরকারের নজরে রয়েছে। ভারতের ওপর এটির প্রভাব কেমন হতে পারে এখন আমরা সেটি নিরূপণের চেষ্টা করছি।”

তবে এক শিল্প বিশেষজ্ঞ অরুণ কুমার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ভারতের ওপর কোনও রাগ বা বিরাগ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তার মনে হচ্ছে না। মূলত নিজেদের সাপ্লাই চেইনের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং ভারতীয় বন্দরগুলোর মাধ্যমে সময়মতো পণ্য রফতানি না হওয়ায় বাংলাদেশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা তার।

এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “রফতানির ক্ষেত্রে নতুন রুটের মাধ্যমে কৌশলগত সুবিধা, সঙ্গে নিশ্চিত নির্ভরযোগ্যতা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ, যা আন্তর্জাতিক পোশাক বাজারের কঠোর সময়সীমার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ভারতের বন্দরের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশ তাদের সাপ্লাই চেইনের ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে।”

অরুণ কুমার আরও বলেছেন, গার্মেন্ট পণ্যকে পচনশীল পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চালান পৌঁছে দিতে না পারলে অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। গার্মেন্ট পণ্য এমন পণ্য যেটি একটি নির্দিষ্ট মৌসুমের পর ভ্যালু হারায়।

তবে ভারতের অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্টের কাছে দাবি করেছেন, ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানি বন্ধ করলেও তাদের খুব ক্ষতি হবে না। তার দাবি, ভারতীয় বন্দরগুলো এমনিতেই অনেক ব্যস্ত। এ কারণে তারা তাদের বন্দর হয়ে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি বন্ধের জন্য আগেই ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেছেন, “এ বিষয়টি খুব বড় কিছু নয়। ভারতীয় বিমানবন্দরগুলো এরই মধ্যে অনেক ব্যস্ত। আমরা বাংলাদেশের পণ্য ভারতীয় বিমানবন্দর দিয়ে রফতানির ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে সরকারকে অনুরোধ করেছি।”

ভারত হয়ে তৈরি পোশাক রফতানি বন্ধের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তাকে আশ্রয় দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন অন্য এক কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, “শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে বাংলাদেশ এটি করছে বলে ভারত সরকার মনে করে না। টেক্সটাইল হলো বাংলাদেশের মেরুদণ্ড। যার অর্থ টেক্সটাইল পণ্য রফতানি বাড়াতেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” সূত্র: লাইভমিন্ট

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 bornomalanews24.com
themesba-lates1749691102